click on images to know more about the Images
বাস থেকে নেমে, নৌকোর দিকে হাঁটছি, কানে এলো কে যেন ডাকছে আমাকে,
চেয়ে দেখি---সুলগ্না।
মনটা ভালো ছিল না
তবু বললাম, কি ব্যাপার,
বহুদিন পর।..... দাঁড়াও না স্বপ্নময়--
হাঁটার গতিটা আলতো করে
থামালাম।
অজয়ের মোহনা, গঙ্গার বুকে
জল তরঙ্গ, তপ্ত বালুকা রাশি।
নৌকো থেকে সুলগ্না ধীর পায়ে নেমে এলো; ভাবছিলাম কি ভাবে কথা বলি--পড়ন্ত বিকেলে, দু'জনের জীবনে বয়ে গেছে আঠারো টি বছর। তখন সবে আঠারোয় পা--স্থিমিত সন্ধ্যায় উঠনের বকুল তলায়---
অনেক ভাবনার পর সে কথা দিয়েছিল---
প্রণয়ের মৃদু প্রবাহ হৃদয়ের ব্যাকুলতা ছুঁয়ে বয়ে ছিল উদ্দাম স্রোতে।
জীবনের অনেকটা পথ হেঁটেছি একা। রং বদলেছে মনে; জীবন যুদ্ধে প্রায় বিধ্বস্ত আমি; কপালের ভাঁজে ভাঁজে ফিকে চুল.... হঠাৎ হাতের রুমালটা পড়ে গেল অজান্তে; সুলগ্না এগিয়ে এসে বললো, স্বপ্নময় তোমার রুমালটা নাও; কি ব্যাপার! এত সুগন্ধ যে--আমি লজ্জা পেলাম। সে হাত দুটো তো চেপে ধরে বলল, তুমি আগের মতই আছো; মাঘে বসন্ত এলো বুঝি। চেয়ে দেখি কেউ নেই পাশে, হৃদয় ভেঙে ,কখন যে সে চলে গেছে; রেখে গেছে স্মৃতি অবশেষ। কি করে বোঝাই, তার চোখে আমার সর্বনাশ।
তবু এ মন বলে---স্মৃতিটুকু থাক।