click on images to know more about the Images
বাইরে ভীষণ বৃষ্টি, টিনের চালে ঝমঝমিয়ে পড়ে,
শুধু সেই শব্দেরা যেনো আঘাত করে বাজে,
পৃথিবীর আর কোনো শব্দ কর্ণকুহরে প্রবেশ না করে।
আনন্দ উচ্ছ্বাসে আজ মেতেছে গ্রাম,
স্নিগ্ধ-স্নান মাঝে।
খাল নালা যত ফুলিয়ে ওঠে বুকে জল ধরে।
আঁধারে শাঁখারা নাচে,
গন্ধরাজ-বেলী সুবাস ছড়ায়,
এত সুখী বুঝি তাঁরা হয়নিকো কভু আগে।।
ভিতরে জেগে আছে ক্ষুদ্র একটি প্রাণ,
দুচোখে বয়ে চলেছে অঝোরে শ্রাবণ
আর,
অন্তরে বহু বেদনার গান।
বুঝি,জীবনের যত হিসাব নিকাশ হবে আজ অবসান,
তাই তো, সেই ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে, প্রতিক্ষণে
খাতার পাতায় লিখে চলেছে
ফেলে আসা জীবনের জয়গান।
লিখতে লিখতে সে হাত হলো ক্ষতবিক্ষত,
সে কলম হলো রক্তাক্ত,
আর চোখের নোনা জলে ভেসে গেলো খাতার পাতা
ঐ জীবনের কথা আর হলো না লেখা।
ইচ্ছা হতে লাগলো ঐ প্রবল বৃষ্টিতে গিয়ে ভিজতে,
বৃষ্টির এই নির্জন রাতে চিৎকার করে কাঁদতে,
যেনো বৃষ্টির ঝমঝমানিতে ঢাকা পড়ে সমস্ত আর্তচিৎকার,
বৃষ্টির জলে ধুয়ে যায় চোখের সব নোনা জল।
কিন্তু এই পৃথিবী,
একটুও জানতে না পারে।
তা আর হলো কই?
সেই ক্ষতবিক্ষত হৃদয় আর রক্তাক্ত কলম নিয়ে কবি
ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো
সেই খাতার উপর,
পরম তৃপ্তিতে নয়,
বিষাদে-অভিমানে-ক্লান্তিতে।
ঘুমই এক আশ্চর্য শক্তি,
যে পারে সমস্ত ব্যথা ভুলিয়ে দিতে।
যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে।
তাই কবিও শান্ত, কবিও মুক্ত
এই বৃষ্টি প্রকৃতির উচ্ছ্বাস নয় শুধু
হাজারো মনের জেগে ওঠা ব্যথা।
সুখের অসুখের
চোখের জলের নীরবতা।