click on images to know more about the Images

মূলনিবাসী

Author: বিকাশ চন্দ্ৰ বিশ্বাস

হে পাঁচ ই অক্টোবর 

তোমাকে বার বার জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে,

তুমি কি সেই বিধ্বংসী ?

যার লেলিহান জিহ্বা গ্রাসিছে হাজার হাজার শতাব্দীকে। 

শতাব্দীর বুকে নেমে এসেছে এক তমিস্র যুগ ,

আলোক পিয়াসী যারা ছিলো 

ছিলো না প্রস্তত ।

তেমনি এক কালচক্রে 

এক নাগিনা জবালা নারী কে

লেলিয়ে দিয়েছিল ব্রাহ্মণ সাপদ ।

তাঁদের পৌচাশিক স্বার্থ চরিতার্থের কামনায় ।

বর্রর লুঠেরা বেইমান নাকামিয়েবেরা পশু চরাতে চরাতে চোরের মত আমাদের ভারতবর্ষে ঢুকে পড়ে ।

এই দেবেশরা ছিল অর্কমন্য,

অলস, পুরুষ মৌমাছি।

এরা নারীজাতিকে সম্মান করতে জানে না ।

এদের মধ্যে মা এবং মেয়ের মধ্যে কোন তফাৎ নেই ।

এরা মা এবং মেয়ে কে সম্ভোগের সামগ্রী ভাবে ।

যেমন স্বরসতীর পিতা ব্রক্ষ্মা 

স্বরসতীকে গিয়েছিল ।

এরা হচ্ছে সেই সুর যারা সুরা পানে আসক্ত।

এদের কৃষ্ণ ভগবান আমাদের নিশাদ বালক মহাধর্নুধর এক লব্যের বৃদ্ধাংগুলি অন্যায়ভাবে কেটেনিয়েছিল দ্রনাচার্যকে দিয়ে ।

কাপুরুষ রাম সাম্যবাদের মুর্তপ্রতীক শম্বু কের গলা কেটে নিয়েছিল ।

কিছু দিন আগের ঘটনা 

রাজস্থানের স্বরসতী বিদ্যামন্দীরের নয় বৎসরের এক দুধের শিশু ইন্দ্রমেঘোয়াল , উচ্চ বর্ণের কলসি থেকে জল খাওয়ার 

অপরাধে জল্লাদ চাওল সিং তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।

আমরা পঁচাশি ওরা বিদেশি,

আমরা মূলনিবাসী ব্রাক্ষণ বিদেশি ।

তথাপি আমরা কাল ঘুমে আচ্ছন্ন,

আমাদের চেতনার উন্মেষ ঘটেনি।

আমরা জাত ব্যাবস্থার স্বীকার ।

এইতো কিছু দিন আগে মন্দির বাজারে অধ্যাপক সুধাকর সর্দারকে অমানবিক ভাবে আঘাত করেছিল ।

যারা মেরেছিল তারা কারা ?

তারা আমাদেরই জাতভাই শূদ্র রাম ভক্ত হনুমান।

কারণ গঙ্গা জলেই গঙ্গা পুজা হয় ‌ ।

আমাদের মধ্যে শিক্ষা নেই

আমরা আগে দাস ছিলাম এখনও দাসই আছি ।

গুটিকতক মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কিছুটা জ্ঞানের বিকাশ হয়েছে।

১৮ই আগস্ট ২০২৫ রামপুরহাটের মূলনিবাসী নাবালিকাকে যে ভাবে বলাৎকার করে কুঁচি কুঁচি করে কেঁটে হত্যা করল জল্লাদ মাস্টার মনোজ পাল তাতো

হায়ানাকেও হার মানিয়েছে ।

ছি!ছি! ঘেন্না হয় ‌। শতকোটি ধিক্কার জানাই এই নর পিশাচ মনোজ পালকে ।

তাই বাবা সাহেবের তর্জনী তুলে আহ্বান জানাই ।

ক্ষমতার মন্দির দখল করতে হবে ।

দাসত্ব বর্জন করে আমাদের পরিচালক হতে হবে।

চক্রব্যুহ রচনা করে মায়াবী জবালা ললনাকে দিয়ে আমাদের বীর বীরেশ্বর মহিষাসুরকে হত্যা করেছিল ।

আমরা শপথ করছি , আমরা আর ঘুমিয়ে থাকবো না,

আমাদের খুঁজে বের করতে হবে যারা আমাদের সাথে বেইমানী করছে ।

বিভীষণ, প্রহ্লাদের থেকে আমাদের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ।

কারণ ওরাই আমাদের পরিকল্পনাকে বানচাল করে দিয়েছিল, এখনও দিচ্ছে ।

আওয়াজ তুলুন আদি কালের মহান শহীদ হুদুড় দূর্গা অমর রহে ।

জয় মহিষাসুরের জয়।