click on images to know more about the Images

অন্তরালে

Author: পঞ্চু ঘরামী।

আজ থেকে বাইশ বছর আগে বৃষ্টিতে ভিজেছি তুমি আমি 

বৃষ্টির জল তোমার কপাল চোখ হয়ে স্পর্শ করেছিলো তোমার ঠোঁট 

সেই জলের স্বাদ আমি পাইনি আজো কোথাও

তোমার গায়ের সেই মিষ্টি গন্ধ অনেক খুঁজেছি অধরা থেকে গেছে সেও !

 

এখন বৃষ্টি এলে খুব ভিজতে ইচ্ছে করে 

ইচ্ছে করে তোমার ঠোঁটে আবারো গড়িয়ে পড়ুক জল

আমি মেঘেদের সাথে কথা বলি দেখি গাছেদের কলাহল

তোমাকে ধরতে চাই অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে পেঁচিয়ে রাখতে চাই বুকে 

বৃষ্টি ঝরে বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর দিন দুপুর তোমাকে ঘিরে ।

 

আজ থেকে বাইশ বছর আগের মতো 

তোমাদের বাড়ির গা ঘেঁষে খালপাড় ধরে পাশাপাশি হাঁটি রোজ

 মিনুদের বাড়ির উঠোন কারিম চাচার বাঁধ জয়নালের খেয়া 

কাশিদার ক্যান্টিনে তোমাকেই করি খোঁজ।

 

এখনো বিকেল হলে ঐ দূরে দীগন্তের আকাশ দেখি 

গোধুলীর আলো ভাঙা সূর্যের রং তোমার মুখ 

তোমার লাজুক হাসি সোনালী ধান ভোরের শিশিরে তুমি থাকো চিরকাল 

আমি ভাবুক আমি তোমার স্বপ্নে বিভোর প্রেমিক এলোকেশীর ঘর বাঁশ ঝাড় পেড়িয়ে সন্ধ্যে নামে আমি তোমাকে খুঁজি ব্যাকুল আঁধারে!

 

আজ বাইশ বছর পর তুমি ভাবতে পারো 

আমি পাগোল আমি শ্বাসরোধ করে খুন করেছি তোমার প্রেম 

 আমি নির্লজ্জ মিথ্যেবাদী প্রতারক বিশ্লেষনের পড়ে বিশেষণ তুমি যত পারো যোগ করো 

তবুও বলবো এসো হে প্রেম ভালোবাসো জাগ্রত করো

এ অতৃপ্ত হৃদয়।

 

যদি প্রশ্ন করি কোনদিন শুনতে চেয়েছো আমার অজান্তা ইলোরার ইতিহাস?

কোন দিন সামনা সামনি হয়ে বুঝতে চেয়েছো আমার হৃদপিন্ডের হাহাকার আর্তনাদ ?

কোন দিন কি বুঝতে চেয়েছো 

আমার কবিতার ছন্দে ছন্দে কতো ব্যাথা বেদনা কত কষ্ট 

তোমাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস?

 

হয়তো আমিও তোমার মতো ভুলে যেতে পারতাম সব 

কিন্তু আমার ক্ষত অক্ষত আজো তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবো বলে 

আমার কবিতায় প্রতিদিন তুমি আসো 

আমার চোখে পাতায় রাত জাগো সোহাগ করো চুমু দাও 

আমার কলমে তুমি শব্দ হও ছন্দ আনো কথা দাও 

ঝড়ে পড়ো কবিতা ছড়া গল্পে 

 

তুমি ভুলে যাও মনে রেখো বা না রেখো 

আমার অন্তরে অন্তরালে তুমি বেঁচে থাকো

আমার মৃত্যুর পরও আমার কবিতায় শব্দ -ছন্দে দাঁড়ি কমায় অমরত্বে

আমার অবসরে তুমি বৃষ্টি হয়ে আমার মন ভিজিয়ে দাও 

তোমার ঠোঁটে বৃষ্টি ঝড়ুক সবুজ ধানক্ষেত মিনুদের উঠোন খালপাড়ে বাউলের গানে আমার প্রেম হয়ে আমার প্রাণে...